কোনাে ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তােমার বন্ধুকে একটি চিঠি লেখ। অথবা , তােমার দেখা একটি ঐতিহাসিক স্থানের বিবরণ জানিয়ে কোনাে বন্ধুকে একটি পত্র লেখ।
তারিখ : ২৮.০৯.২০২১
বাংলাবাজার , টাকা।
প্রিয় মহসীন,
গতকাল তােমার চিঠি পেয়ে খুবই প্রীত হয়েছি। আশা করি মাঝে মাঝে লিখে বন্ধুর খোঁজ - খবর নিতে ভুলবে না। গত পরশু গিয়েছিলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শন করতে। এ সৌধের সৌন্দর্য সংক্ষিপ্ত আকারে তােমাকে না জানিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি না। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৩ কিলােমিটার দূরে ঢাকা - আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
১৯৭২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের নকশা তৈরি করেছিলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হােসেন। এর উচ্চতা ১০০ ফুট। স্মৃতিসৌধের ফলক সংখ্যা ৭। এই ৭ সংখ্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ। এই নকশার স্থপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে ত্রিভুজাকৃতি মিনারের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি এতে স্মরণ করা হয়েছে। সাত সংখ্যার সাথে মিল রেখে স্মৃতিসৌধের সাতটি ফলকে গড়ে উঠেছে অপূর্ব শিল্পকর্ম। স্মৃতিসৌধের মিনার প্রাঙ্গণের আয়তন ১৩০ ফুট x ১৩০ ফুট। এ স্মৃতিসৌধটির নির্মাণ কাজ মােটামুটি শেষ হয়েছে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। তবে এর মূল ভবনের কাজ শেষ হলেও চারপাশের সম্প্রসারণের কাজ এখনাে অব্যাহত রয়েছে। এর পুরাে আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য বিচিত্র বর্ণের ফুলের গাছ আর ডানপাশেই রয়েছে। একটি সুন্দর লেক। এক কথায় এর সৌন্দর্য নয়ন মন মুগ্ধ করে।
তুমি ঢাকা এলে তােমাকে নিয়ে আর একবার স্মৃতিসৌধে যাব বলে ইচ্ছা রাখি। এ স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য যতই দর্শন করি না কেন। সাধ যেন মিটে না। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। তােমার কুশল কামনা করি।
ইতি
তােমার প্রীতিমুগ্ধ
মােস্তফা হােসেন
[এখানে খাম আঁকতে হবে]